একাদশী পরের দিন, যাকে দ্বাদশী বলা হয়, সে দিন উপবাস ভঙ্গ (পরণ) করে বিশুদ্ধ ও সহজপাচ্য সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ করা উচিত। নিচে দ্বাদশীর দিনের উপযুক্ত খাবার এবং কিছু নিয়ম দেওয়া হলো:-
✅ দ্বাদশীতে যা খাওয়া উচিত:
১. ভাত / অন্ন – যেহেতু একাদশীতে তা পরিহার করা হয়, দ্বাদশীতে পরণ করার সময় সামান্য সিদ্ধ ভাত খাওয়া যায়।
২. মুগ ডাল – সহজপাচ্য ও হালকা।
৩. সিদ্ধ শাকসবজি – যেমন পটল, কুমড়ো, লাউ, শালগম ইত্যাদি (রসুন-পেঁয়াজ ছাড়া)।
৪. দুধ, ছানা বা দই – সাত্ত্বিক ও পবিত্র খাদ্য হিসেবে দুধজাতীয় দ্রব্য খাওয়া যায়।
5. মিষ্টান্ন – যেমন চিড়ের পায়েস, খীর, রাবড়ি ইত্যাদি অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।
6. ঘি – পরণের সময় সামান্য ঘি দেওয়া ভাত বা খাবারে শুভ বলে বিবেচিত হয়।
7. তুলসীপাতা – পরণের পূর্বে প্রসাদ গ্রহণের সময় তুলসীপাতা দেওয়া শুভ।
❌ যা এড়ানো উচিত:
পেঁয়াজ-রসুন
মাছ, মাংস, ডিম
বেশি তেল-মসলা
বাইরের বা জাঙ্ক ফুড
মদ, ধূমপান বা নেশাজাতীয় কিছু
অন্যের সমালোচনা, রাগ-হিংসা ইত্যাদি মানসিক অশুদ্ধতা
✅ পরণ করার নিয়ম:
দ্বাদশী তিথিতে সূর্যোদয়ের পর স্নান করে ভগবানের নাম স্মরণ করে প্রথমে প্রসাদ গ্রহণ করুন।
তারপর ধীরে ধীরে হালকা খাবার দিয়ে উপবাস ভঙ্গ করুন।
কেউ যদি একাদশীতে জলেরও উপবাস করে থাকে, তবে তারা প্রথমে জল বা ফল দিয়ে পরণ করবে।